Thursday, October 23, 2025

কিশোরীকে ধর্ষণ চেষ্টার দায়ে যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

আরও পড়ুন

নারায়ণগঞ্জ শহরের খানপুর এলাকায় ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগে আবু হানিফ (৩০) নামে এক নিরাপত্তা প্রহরী যুবককে বাসা থেকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে।সোমবার (২০ অক্টোবর) রাত আটটার দিকে শহরের খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

তবে নিহতের স্বজনদের দাবি, মিথ্যা অভিযোগ তুলে স্থানীয় বখাটে যুবকরা টাকা দাবি করে। টাকা দিতে না পারায় হানিফকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।

হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার ডা. শাহাদাত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, সোমবার বিকেল তিনটার দিকে খানপুরের স্থানীয় কয়েকজন যুবক গুরুতর আহত অবস্থায় আবু হানিফকে হাসপাতালে রেখে চলে যান। রাত আটটার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

নিহত আবু হানিফ বাগেরহাট জেলার শরণখোলা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি স্ত্রী ও তিন সন্তানকে নিয়ে খানপুর এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন এবং স্থানীয় জিতু ভিলাতে নিরাপত্তা প্রহরীর কাজ করতেন।

আরও পড়ুনঃ  জামায়াত নেতার গাড়িবহরে হামলা

নিহত হানিফের মেজো বোন রাবেয়া জানান, সোমবার দুপুর বারোটার দিকে তার ভাই বাসায় বিছানায় শুয়ে ছিলেন। এ সময় এলাকার কিছু যুবক এসে কোনো কারণ না জানিয়েই তাকে মারতে মারতে বাইরে তুলে নিয়ে যায়। পরে তারা দাবি করে যে হানিফ নাকি কোনো কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেছেন। তবে এই অভিযোগের কোনো বিস্তারিত তথ্য, যেমন কে সেই মেয়ে বা কবে ঘটনা ঘটেছে, তা তারা জানাতে পারেননি।

নিহত হানিফের ভগ্নিপতি মো. ইব্রাহিম বলেন, দুপুরে ঝামেলা শুরুর খবর পেয়ে তিনি কর্মস্থল থেকে ছুটে আসেন। পরে এলাকার যুবকরা তাকে জোর করে খানপুরের জোড়া পানির ট্যাংকিসংলগ্ন ওয়াসা অফিসের সামনে নিয়ে যায়। সেখানে গিয়ে তিনি দেখেন, তার শ্যালক হানিফকে ১০-১২ জন যুবক ঘিরে বসিয়ে রেখেছে। তাদের মধ্যে পাশের বাড়ির অভি নামে স্থানীয় একজনকে তিনি চিনতে পারেন।

আরও পড়ুনঃ  ভারতের সঙ্গে ১০ চুক্তি ‘বাতিল’ নিয়ে আসিফের পোস্ট, যা বললেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

আরও পড়ুন: বগুড়ায় নেশার জন্য টাকা না পেয়ে দাদাকে পিটিয়ে হত্যা

ইব্রাহিমের অভিযোগ, অভিযুক্ত অভি-সহ যুবকরা হানিফের বিরুদ্ধে একবার ধর্ষণ আবার কখনও ইভটিজিংয়ের অভিযোগ তুলে পরিবারের কাছে টাকা দাবি করে। টাকা দিতে না পারায় হানিফকে তারা পিটিয়ে হত্যা করেছে।

নিহত হানিফের বাবা আবুল কালাম কাঁদতে কাঁদতে বলেন, ‘আমার ছেলে যদি কোনো অপরাধ করত, তবে আইন তাকে শাস্তি দিতো। কিন্তু এভাবে তাকে মেরে ফেলল কোন যুক্তিতে? আমি আমার ছেলের হত্যাকারীদের বিচার চাই।’

আরও পড়ুনঃ  পটুয়াখালীতে জেলেদের জিম্মি করে চাঁদা আদায় ছাত্রদল সভাপতির!

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নাছির আহমদ জানান, খবর পেয়ে থানা পুলিশ শহরের খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতাল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে।

ওসি নাছির আহমদ আরও বলেন, ‘ধর্ষণ চেষ্টার কোনো অভিযোগ আমাদের থানায় কেউ করেনি। ধর্ষণের কোনো চেষ্টা হয়েছে কিনা, তা এখনও আমরা নিশ্চিত হতে পারিনি। ঘটনার সঠিক তথ্য উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত কাজ করছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে। এছাড়া ওই যুবককে হত্যার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেলে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

আপনার মতামত লিখুনঃ

আরও পড়ুন

সর্বশেষ সংবাদ